মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বিভাগীয় শহর সিলেটের সাথে যোগযোগ স্থাপনকারীজগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।যার ফলে অত্র সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারন চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।
বিগত বছর ইটের সুরকি দিয়ে নিম্ন মানের কাজ করা সড়কটির পিচ ঢালাই উঠে বর্তমানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কটি বর্তমানে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে সিলেট শহরে প্রতিনিয়ত যাতাযাত করছেন।
এই উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সিলেটে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন এবং একটি বড় অংশই সিলেট শহরে বসবাস করেন। নিত্যদিনের অফিসিয়াল কাজতো রয়েছে। সেই সুবাদে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসিকে প্রতিনিয়ত সিলেট শহরে যাতায়াত করতে হয়। প্রায়ই গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অত্র এলাকার জনসাধারণকে। সম্প্রতি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন মহিলার রাস্তার মধ্যে ডেলিভারী হয়। রাস্তাটির করুন দশার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে ২০১৭ সালের জুনে জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ী পর্যন্ত পনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কে ২ নং ইটের সুরকি ও নিম্নমানের বিটুমিন নির্মান সামগ্রী দিয়ে সংস্কার কাজ করা হলে ৪ মাসের মাথায় সড়কটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে সড়কটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও দায়সারা কাজ করে অধিকাংশ টাকাই লুটপাট হয়ে যায়। উক্ত গুরুত্বপুর্ণ সড়ক সহ উপজেলার সকল জরাজীর্ন সড়কগুলো পুণঃনির্মানের জোর দাবি জানান অত্র এলাকার সচেতন মহল।এবং সেই সাথে সরকারি টাকা যাতে লুটপাট না হয় এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী এবং কাজ যেন প্রাক্কলন অনুযায়ী উন্নতমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে সঠিকভাবে করা হয় এবং টেকসই হয় এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১৫ ই মে বুধবার উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ারের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, এই গুরুত্বপূর্ন সড়কটির পুণঃনির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত সড়কটির বড় বড় গর্ত ভরাট আমরা করে দেব।